(১) Hakatornar veli Iceland – আইসল্যান্ড হল পৃথিবীর অন্যতম একটি সুন্দর দেশ পুরো দেশ জুড়ে রয়েছে পাহাড় – পর্বত , নদী -সাগর এর মনোরম দৃশ । কিন্ত প্রতি বছর এর যখন আইসল্যান্ড পর্যটকরা ঘুরতে যায় তখন হাকাটোলার্র ঘাটী দেখে প্রায় অনেকে অবাক হয় । কারন এই জায়গাতে মাটিতে পানি হঠাৎ ফুলে উঠে। এবং এটি এত দ্রুত গতিতে উপরে উঠে যে এই দৃশ্য দেখতে অনেকেই ছুটে আসে ।
যেটা অনেক প্রাচীন সময় থেকে এ ভাবে পানি উটে অনেক উঁচুতে আসে এবং এটা পুরো জায়গাটির নিচে একটা জল্ধারা রয়েছে । যেই এই জলটি বাইরে বেরিয়ে আসে তখন এটি দেখতে একটা কচ্ছপ এর ডিম এর মতই লাগে । এবং এটি দেখতে এত সুন্দর হয় যা উপভোগ করার জন্য মানুষ এখানে বেশি আসে ।
(২) Devils Kettle – এই জায়গাটি হলো একটি জলপ্রপাত । এখানে প্রতিনিয়ত অবিরাম ঝর্নার পানি বয়ে পড়ে । এটা দেখে মনে হবে একটি সাধারন ঝর্না । এক সন্ধানে পাওয়া গেছে এটি Vrelo নদী একটি জায়গায় এসে ২ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । নদীটির একটি দ্বারা তো আগে গিয়ে অন্য নদীতে মিশে যায় । কিন্তু অন্য ধারাটি আজ পর্যন্ত অজানা । এবং এ ধারাটি কোথায় যায় তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না । কিন্তু অনেকে মনে করে এ ধারাটি কোন না কোন জলাশয়ে মিশে গেছে । এ বিষয় নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী এই জলে রঙ মিশিয়ে দেখতে চায় যে এই জলটি কোথায় যায় । কিন্তু সেই রঙ্গিন জলটি গিয়ে কোথাও পাওয়া যায় নি ।
(৩) The Humm of the taos – নিউইয়র্কে অবস্থানরত মানুষেরা এই শহরে বসবাস করে । কিন্তু একবার ভেবে দেখলেই শরীর শিওরে উঠে ঘুমন্ত অবস্থায় মাঝরাতে জদি যদি কোনো শব্দ প্রকট আকারে হতে থাকে তখন কেমনটা অনুভব হবে । তেমনি এক ঘটনা ঘটে এই শহরটাতে । এখানের বসবাসকারিরা মাঝরাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত একটানা HUMM এই ধরনের শব্দে দিন থেকে রাত পুহাতে হয় । কিন্তু এই শব্দটা কোথা থেকে উৎপত্তি হয় বা কোথা থেকে আসতে থাকে তা বিজ্ঞানিরা অনেক ঘাটাঘাটী করেও ব্যাখ্যা দিতে পারে নি ।
(৪) Blood Falls – এই ঝর্নাটিকে বলা যায় রক্তের ঝরনা ঝর্না । একবার চিন্তা করলেই বোঝা যায়, পানির ঝর্নার মতো অবিরাম যদি রক্তের মতো লাল ঝর্না পড়তে থাকে সেই দৃশ্যটা দেখতে কতোটা ভয়ংকর হতে পারে । তবে এটি সত্যি কারের কোন রক্ত নয় । অ্যানটারটীরকায় বিভিন্ন জায়গায় বরফ গলে Waterfalls এর সৃষ্টি হয় । আর তার মধ্যে একটি হলো এই ঝর্নাটি ।
আর সাধারনত এই গ্লেসিয়ার করা পানি রক্তের মতো লাল হতে থাকে । প্রথম বারের মতো এটাকে দেখে বিজ্ঞানিরাও চমকে গিয়েছিল । তারপর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তারা জানতে পারল যে এটি সাধারনত সেই স্থানে থাকা আয়রন অক্সাইডের বেশি হওয়ার কারনে হয়েছিল । পানির যেই জায়গায় বরফ গলে এটি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বেশি পরিমানে আয়রন থাকার কারনে হয় । আর বিজ্ঞানীদের এই ধারনা অনুযায়ী এর কারনে ঝর্নার পানি রক্তের মতো লাল হয় ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নিয়ে যা কিছুই জানি !
(৫) Menden Hall Ice Cave – গুহা কেমন তা নিয়ে তো সবাই জানে যার ভিতরটা অনেক অন্ধকার এবং ভয়ংকর হয় । কিন্তু আলাক্সেতে এমন একটি গুহা রয়েছে যেখানে কেউ গেলে আর ফিরে আসতে চাইবে না । কারন এই গুহাটি দিনের বেলায় অন্ধকার হয় না । এর মূল কারন হলো এই গুহার ছাদ তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ বরফ দিয়ে । এই অসাধারন সুন্দর গুহাটিকে দেখতে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ আলাক্সাতে যায় । পৃথিবীতে এরকম অনেক গুহা রয়েছে এর মধ্যে এটি অন্যতম । কেননা এ গুহা ৪০ কিলোমিটার লম্বা এজন্য একে সবচেয়ে বড় বরফের গুহা বলা হয়েছে ।
এছাড়া এটী পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যেখানে Water Carcle দেখা যায় । অর্থাৎ পানি বরফ থেকে গলতে দেখা যায় । আবার পানি বরফে পরিনত হতে দেখা যায় । আর সবচেয়ে বড় কারন হলো এর ভিতরে সবসময় নীল রঙ্গের আলো দেখা যায় । সাধারনত এই কারনে গুহাটির ভিতর এতো সুন্দর পরিবেশকে উপভোগ করা যায় ।
(৬) Magnetic Hill – ভারতের লাদাক নামক অঞ্চলে একটি পাহাড়ি রাস্তা রয়েছে । এই পাহাড় গুলো Magnetic Hill নামে পরিচিত । এই রাস্তায় এক রকম আশ্চর্য ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে । এই পাহাড়টি Magnetic Hill নাম হওয়ার কারন হলো এই পাহাড়ি রাস্তায় যেকোনো প্রকার গাড়ি বা মোটরসাইকেল যদি রাস্তায় বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে এটি চাবি ছাড়া নিজে থেকেই চলতে শুরু করে । এমনকি অনেক সময় ঢালু রাস্তায় গাড়ি কোন প্রকার ইঞ্জিলের ব্যবহার ছাড়াই গাড়ি উপরের দিকে উঠতে থাকে ।
এই পাহাড়টি মেগনেটিক বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন । কিন্তু কেউই এর সঠিক সত্যতার ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি ।
জেনে নিন: পুরো আকাশ ফাঁকা রেখে কেন নির্দিষ্ট রাস্তায় চলে প্লেন
(৭) Under Water WaterFall – এই ঝর্নাটি সাগরের ভিতরের চলমান একটি ঝর্না । South Africa তে সাগরের মাঝখানে এই ঝর্নাটির উৎপত্তি । এখানে সমুদ্রের নিচে যেমন বড় গর্তের ঝর্না দেখা যায় , কিন্তু বাস্তবে এটি বড় গর্ত নয় । এখানে একটি গর্ত আছে কিন্তু এখানে থাকা বালু ও লবলের আকৃতি এরকম যে এটিকে উপর থেকে দেখলে মনে হয় এটি একটি খুবই গভীর সাগরের নিচে অবস্থিত প্রাকৃতিক ঝর্না । আসলে মহাবিশ্বে এরকম অনেক হাজার হাজার অবাক করা স্থান রয়েছে যার অজানা কারন মানুষ বা বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত জানতে পারেনি ।