ভুটান আমাদেরই প্রতিবেশী ছোট্ট একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকেও অনেক পর্যটক এই দেশে ভ্রমণ করতে যায়। তারা হয়তো এই অজানা জিনিসগুলো লক্ষ্য করে থাকবেন। কিন্তু যারা যাননি তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা।
১. ভুটান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে কোনো ট্রাফিক লাইট নেই। সেখানে চৌরাস্তার গোল চত্বরে দাঁড়ানো পুলিশের সাহায্যে লোকজন গাড়ি চালানোর নির্দেশনা পেয়ে থাকে। লোকজনগুলোও অনেক সৎ। তারা নির্দেশনা মোতাবেক গাড়ি চালায়। এছাড়া সেখানকার রাস্তা এমনভাবে তৈরি যাতে ট্রাফিক লাইটের প্রয়োজন পড়ে না।
২. ভুটানকে land of the thunder dragon বা বজ্র ড্রাগনের ভূমি বলা হয়। তাদের বিশ্বাস এই বজ্রগুলো এক বৃহৎ ড্রাগনের মুখের আগুন থেকে আসে। এই মিথলজি ধারণার উপর ভিত্তি করেই তাদের পতাকায় একটি ড্রাগন স্থান পেয়েছে।
৩. ভুটানে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র ছিল। বহু বছর ধরে ভুটান সারা বিশ্ব থেকে নিজেদেরকে আলাদা করে রেখেছিল। এমনকি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কোন টিভিই ছিল না এই দেশে।
আরো পড়ুন: ভারতবর্ষের পার্সি সম্প্রদায়: পার্সি কারা?
৪. রাজতন্ত্র থাকুক আর বিশ্ব থেকে আলাদা থাকুক, এর মানে এই নয় যে এই দেশ কোনো উন্নতি করেনি। এই দেশ পৃথিবীর একমাত্র কার্বন নেগেটিভ দেশ। এই দেশের ৭০ শতাংশ গাছ পালায় ঢাকা। অর্থাৎ যত পরিমান কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় তার চেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এমনকি তাদের সংবিধানে এটা আইন হিসেবে স্থান পেয়েছে যে, তাদের দেশের ষাট শতাংশ সব সময় বৃক্ষ দ্বারা ঢাকা থাকবে।
৫. আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। ১৯৯৮ সালে তিনি এম বি বি এস পাশ করেন। এম বি বি এস পাশ করে ঢাকায় অধ্যাপক ডা. খাদেমুল ইসলামের অধীনে জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন। তিনি বাংলাদেশে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন। কিছুদিন আগেও তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন এবং বাংলাদেশের অনেক প্রশংসা করেন।